সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আরও ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের পৃথক আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘ফতুল্লা থানার ৪টি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৪টি, সোনারগাঁও থানার দুটি এবং রূপগঞ্জ ও বন্দর থানায় একটি করে দায়ের করা মামলায় গিয়াসউদ্দিনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এসময় তার জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশন দিয়েছেন। প্রতিটি মামলায় গিয়াসউদ্দিন এজাহারভূক্ত আসামি।’
গিয়াসউদ্দিনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলাই সাজানো ও মিথ্যা। কেবলমাত্র হয়রানি করার লক্ষ্যেই তাকে আসামি করা হয়েছে। আমরা আদালতে জামিন চেয়েছি। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে সাবেক এই এমপির জামিন আবেদন করবো।’
আদালত সূত্র জানায়, গতকাল সকালের দিকে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে পৃথক পাঁচটি আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তার আইনজীবীরা প্রতিটি আদালতেই সাবেক এই এমপির জামিন আবেদন করেন।
এদিকে এদিন সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়তি নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, ডিএসবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। অন্যদিকে গিয়াসউদ্দিনকে আদালতে আনার হবে এমন সংবাদে সকাল থেকেই বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। তারা গিয়াসউদ্দিনের মুক্তি দাবি করে স্লোগান দেন। এসময় গিয়াসউদ্দিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তাকে প্রিজনভ্যানে করে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১২ মে ঢাকার একটি আদালতে দুদকের একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গেল ১৯ মে আড়াইহাজার থানার একটি নাশকতার মামলায় সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছিল। এসময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।